• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Former

রাজ্য

প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি চিঠি তদন্তে বাংলায় তদন্তে পাটনা পুলিস

বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি চিঠি পাঠানো কান্ডের তদন্তে বর্ধমানে এলো পাটনা পুলিশ। আজ দুপুরে পাটনা পুলিশের দুই আধিকারিক বর্ধমান আদালতে আসেন। তারা যার নামে হুমকি চিঠি গিয়েছে সেই চম্পা সোম নামের মুহুরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদিও তারা জানান; তারা সবে তদন্তে এসেছেন। এখনই কিছু বলতে চান নি তারা। অন্যদিকে অভিযুক্ত চম্পা সোম জানান; হ্যাঁ; ওরা এসেছিলেন। মিনিট পাঁচেক আমার সাথে কথা বলেন। আমি ওদের সব জানিয়েছি। আমি বলেছি; আমি সুশীল কুমার মোদীকে চিনি না। তার প্রতি আমার কোনো অনুযোগ থাকতেই পারেনা। পাটনা যাবার রাস্তাও আমি চিনি না।চম্পাদেবীর ধারণা ; এই ঘটনার পিছনে গ্রেপ্তার হওয়া আইনজীবী সুদীপ্ত রায় থাকতে পারেন। তিনি এভিডেভিট করতে বাধা দিতেন বলে আমরা একটি গণদরখাস্ত করি। সেসময় তিনি আমাকে এবং বাপ্পাদিত্যবাবুকে হুমকি দেন দেখে নেবার। চম্পা দেবীর দাবি; এই ঘটনার পিছনেও সুদীপ্ত রায় থাকতে পারেন।গতকালই একই সন্দেহ প্রকাশ করে কার্যত চম্পাদেবীর পাশেই দাড়িয়েছিল বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল-ক্লার্কদের সংগঠন। এই নিয়ে আজও চাঞ্চল্য ছিল আদালত চত্বরে। দুদিন আগে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি গিয়েছিল বর্ধমান থেকে। এই চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমানের রায়ান গ্রামের বাসিন্দা চম্পা সোমের নামে চম্পা দেবী বর্ধমান জর্জ-কোর্টের লক্লার্ক হিসাবে কর্মরত।চম্পাদেবী জানান; তার কথায় তদন্তকারী আশ্বস্ত হয়েছেন যে এর পিছনে অন্য কিছু আছে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
কলকাতা

ভাল আছেন বুদ্ধদেব, মঙ্গলবার ফিরছেন বাড়ি

ভাল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে তাঁর।মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাতেও ভালভাবে ঘুমিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে তাঁকে খবরের কাগজ পড়ে শোনানো হয়েছে। তবে চোখের সমস্যার কারণে তাঁকে টিভি দেখতে দেওয়া হয়নি। নরম খাবারের বদলে তাঁকে ফল ও কিছুটা শক্ত খাবার দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ আমি একশোবার চাইব, রাজ্যে ৩৫৬ জারি হোকঃ মুকুল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর ক্যাথিটারও খুলে দেওয়া হয়েছে। অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁর শরীরের বিভিন্ন মাপকাঠি স্বাভাবিক রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
কলকাতা

সঙ্কট মুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

অনেকটাই সুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুক্রবার রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। চেতনাও একেবারে স্বাভাবিক। অল্প অল্প কথাও বলছেন তিনি। শনিবার সকালে এমনই স্বস্তি খবর শোনাল উডল্যান্ডস হাসপাতাল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমানে বিপদমুক্ত। আরও পড়ুন ঃ মোদী সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেনঃ অপর্ণা সেন গত রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে তাঁর। জ্ঞানও রয়েছে। কথা বলতেও পারছেন। রক্তচাপের মাত্রা ও মূত্রত্যাগের পরিমাণও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফেরার পরই চিকিৎসক ও সবসময়ের সঙ্গীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, আমি বাড়ি যেতে চাই। এদিনই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁর ইউরিনারি ক্যাথিটারও। তবে এখনও অ্যান্টি বায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধগুলি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অর্থাৎ সব ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দলীয় নেতাদের পাশাপাশি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ডিসেম্বর ১২, ২০২০
কলকাতা

ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে

ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। শুক্রবার বিকেলের আগেই সুখবর শোনালেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিন বিকেল নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বেলা ১১.৩০ নাগাদ ধীরে ধীরে ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে পাঠালেও দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি পরবর্তী দুঘণ্টা ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে তিনি শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন কি না, রক্তচাপ কিংবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কি না, এসবই নজরে ছিল চিকিৎসকদের। শেষপর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেই বুলেটিনে জানিয়েছেন তাঁরা। আপাতত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আরও বেশ খানিকটা সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। শুক্রবার সকালে উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ আর তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা আপাতত স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন। তবে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থা এখনও কাটেনি তাঁর। ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমলেও, তা চলছে। এই মুহূর্তে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬, যা স্বাভাবিক। তাকে রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি ধীরে ধীরে তা গ্রহণ করতে পারছেন। ডাকলে খুব ধীরে চোখ খুলে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েকটি স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক এখনও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সর্বক্ষণ তাঁকে নজরে রেখেছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি হন ৭৬ বছর বয়সি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

এখনও সঙ্কটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই সঙ্কটমুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসকেরা। ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর শরীরের একাধিক প্যারামিটার অবশ্য সন্তোষজনক। বৃহস্পতিবার বিকেল এক মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনও পর্যন্ত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ প্রচার না পেয়ে গুন্ডাদের দিয়ে হামলার নাটক করাচ্ছেঃ মমতা তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। রক্তচাপ, পালস রেট ঠিক আছে। ইউরিন ঠিকমতো হয়েছে। সকালে বৈঠকের পরে মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয় বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। আচ্ছন্ন থাকলেও জ্ঞান আছে। এখনও মেক্যানিক্যাল ভেন্টিলেশনেই আছেন। এবং আপাতত সেখানেই থাকবেন। তবে যাতে তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা যায় ধীরে ধীরে সেই চেষ্টাই চলছে। বিকেলের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে স্যালাইনের মাধ্যমে। খাবার দেওয়া হচ্ছে রাইস টিউবের সাহায্যে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন মমতা, করলেন দ্রুত আরোগ্য কামনা

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার দুপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিএম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী। আরও পড়ুন ঃ আগামীকাল প্রকাশিত হবে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। উনি সেরে উঠুন। পরিবারের পাশে আছি। হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে অবস্থার অবনতি হয়েছে বুদ্ধবাবুর। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রথমে কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাঁর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়েছে। ভর্তি হওয়ার সময় ৮৮ থাকলেও পরে তা বেড়ে হয়েছে ১৩১। তাঁর চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জের, হাসপাতালে ভরতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জেরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বুধবার দুপুরে তাকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে ভরতি করার সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে সেখানে তাঁর কন্যা উপস্থিত হয়। তাঁর চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অক্সিজেনের স্যাচুরেশন লেভেল ৭০ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। এর জেরে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিক অবস্থার কারণেই দীর্ঘদিন জনসমক্ষে দেখা যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও পড়ুন ঃ কৃষি আইনের বিরোধিতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তৃণমূলের সিপিএমের কোনও দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি এখন আর যোগ দিতে পারেন না, যেতে পারেন না দলীয় দফতরে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি। বাড়িতেও কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্টের রাখা হয়েছিল তাঁকে। মাস কয়েক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেসময় তাঁর খোঁজ নিতে বুদ্ধবাবুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ জেলা সাধারণ সম্পাদকের

শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অভিযুক্ত মহম্মদ সেলিমকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও হল বর্ধমানে। আর সেই থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস। ঘন্টা দেড়েক বিক্ষোভ চলার পর পুলিশি আশ্বাসে ঘেরাও কর্মসূচি উঠে যায়। আরও পড়ুন ঃ হাওড়ায় নতুন পুর কমিশনার ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। বর্ধমানের লোকো কলোনীতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিবদমান গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীরই বেশ কয়েকজন জখম হয়। বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছিল। সেখানেই ক্যাম্পের দখলদারি নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস ও ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অভিযোগ , শিবু ঘোষ তার বৌদি ও স্ত্রীকে নিয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। তখন মহম্মদ সেলিমের অনুগামীরা খোকন দাসের অনুগামী শিবু ঘোষকে মারধর করে। এরপর এলাকার একটি বাড়িতে শিবু ঘোষ আশ্রয় নিলে সেখানেও ঢুকে মারধর করা হয়। পাশের দলীয় কার্যালয়ে হামলা হয় ও ভাঙচুর চালানো হয়। খোকন দাস পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন যদি বিকেলের মধ্যে অভিযুক্তদের না ধরা হয়, তাহলে তারা থানা ঘেরাও করবেন। পুলিশ প্রশাসন ঠিক মত কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম বলেন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির হয়ে শিবু ঘোষের নেতৃত্বে কয়েকজন দাদাগিরি করছিল। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে প্রথমে বাদানুবাদ হয়।পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের তাড়া করলে ছুটে পালাতে গিয়ে কেউ আহত হতে পারে। কেউ তাদের মারধর করেনি। আর ওখানে কোন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস নেই। শিবু ঘোষের দাবি, সেলিমের নেতৃত্বে একদল যুবক তাঁদের উপর হামলা করে। ব্যাপক মারধর করেছে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

প্রয়াত জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য

প্রয়াত হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। কয়েকদিন ধরে তিনি বর্ধমানে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রাত ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান। আরও পড়ুন ঃ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী , কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য্য , জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গাঙ্গুলি , গণেশ দাস , অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। কাশীনাথ গাঙ্গুলি জানান , আভাস দা আমাদের অভিভাবক ছিলেন। দীর্ঘ বছর ধরে কংগ্রেসের আন্দোলনে সাথী ছিলেন তিনি। ওনার মৃত্যুতে দলের অনেক ক্ষতি হল।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
দেশ

প্রয়াত যশবন্ত

প্রয়াত বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য যশবন্ত সিং। রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৫ জুন থেকে এই হাসপাতালে ছিলেন। এদিন সকালে প্রয়াত হন। যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "প্রথমে একজন সেনা ও পরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশসেবা করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় সামলেছেন অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব।" যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের জসোল গ্রামে জন্ম যশবন্ত সিংয়ের। পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। মেজর পদেও কর্মরত ছিলেন। আশির দশকে যোগ দেন রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সংক্ষিপ্ত রাজত্বকালে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০০২ সালে ফের বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৪ বছর দায়িত্ব সামলান বিদেশ মন্ত্রকেরও। ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০১-এর অক্টোবর অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভা ছাড়াও চারবারের লোকসভা সাংসদ ছিলেন যশবন্ত। ২০০৯ সালে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে লোকসভায় যান তিনি। তবে ২০১৪ সালে দল টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। রাজস্থানের বারমেড় থেকে নির্দল সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ওই বছরেই বাথরুমে পড়ে যান যশবন্ত। মাথায় গুরুতর চোট পান। ভর্তি করা হয় দিল্লির সেনা হাসপাতালে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইটে পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal